বইয়ের নাম: ডাবল স্ট্যান্ডার্ড
লেখক: ডা.শামসুল আরেফীন [এমবিবিএস,বিসিএস(স্বাস্থ্য), সহকারী সার্জন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়]
সম্পাদক: মুফতি আবু সালেহ মোহাম্মদউল্লাহ[ শিক্ষাসচিব ও সিনিয়র মুহাদ্দিস, জামি'আ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া মাদরাসা কমপ্লেক্স ]
প্রকাশনী: মাকতাবাতুল আযহার
গায়ের মূল্য:২২০টাকা মাত্র।
প্রাসঙ্গিক কিছু কথা :
খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে আকাশের দিকে তাকালে নয়ন দু'টি আমাদেরকে আকাশের বাহ্যিকটা দেখাবে। মেঘের ভয়ংকর গর্জন শোনাবে কান। আমার অবস্থান ফুলের সন্নিকটে নাকি ডাস্টবিনের; বাতলানোর জন্য আছে নাক। ত্বক জানিয়ে দেয়, গায়ে রৌদ্রের দাবদাহ্য পড়ছে নাকি হিমশীতল বায়ু লাগছে। বুদ্ধি খাটিয়ে যুক্তির আলোকে কোন কিছু নিয়ে ভাববার জন্য আছে ব্রেন।
কিন্তু এসব বাহ্যিক উপকরণের বাইরেও এমন কিছু বিষয় থাকে যা পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা উপলব্ধি সম্ভব নয় আর না তাকে বুদ্ধি খাটিয়ে উদঘাটন করা যায়। এমন বিষয়গুলোর পরিচয় লাভের জন্য আল্লাহ তা'আলা আমাদের জন্য যে মাধ্যম রেখেছেন তার নাম -'ইলমে ওহী', আসমানী ইলম।
একদিন মহাপ্রলয় ঘটবে যা দেখে গর্ভধারিণী মা তার গর্ভের শিশুকে উগলে দেবে, পুনরুস্থান হবে সকলের, হিসাবের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে জ্বিন ও ইনসানকে। এরপর নির্ধারিত হবে চরম সুখের স্থান জান্নাত অথবা আগুনের লেলিহানময় জাহান্নাম। এই বিষয়গুলো যায় না জানা পঞ্চইন্দ্রিয়ের দ্বারা, ব্যর্থ সে এখানে। জানার মাধ্যম একটায় আর তা হল মহান বরের 'ওহী'। কাজেই ইসলাম কোন যুক্তির ধর্ম না। বরং যুক্তির সমাপ্তি যেখানে, সেখান থেকে ইসলামের শুরু।
তবে, ইসলামবিদ্বেষী শক্তি ইসলামের উপর ষড়যন্ত্রের প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত। নতুন প্রজন্মকে ধোঁকা দিতে তাদের মনে বিভিন্ন সংশয়-সন্দেহের জাল বিছানোতে তারা সদা প্রস্তুত। অবাধ তথ্যপ্রবাহ ও বাক-স্বাধীনতার এ যুগে পর্যাপ্ত পরিমাণ ধর্মীয় জ্ঞানের অভাবে যুবসমাজ তার একমাত্র দ্বীন 'ইসলাম' এর প্রকৃত হাক্বীকাত বুঝতে ব্যর্থ।
'যুক্তির জবাব যুক্তি' -এটাই এখন সময়ের দাবি। তাই এ যুগে এমন কিছু ভাবনার সংকলন থাকা দরকার যা ইসলামের ওপর আপতিত অভিযোগগুলোর জবাব দেবে। "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড" সে ধরনেরই একটি বই।
পাঠপর্যালোচনা:
মহান আল্লাহ প্রদত্ত মনোনীত দ্বীন 'ইসলাম'-এর পুরোটায় কল্যাণময়। কেননা, এ বিধান মানবজীবনের স্রষ্টা,সমস্যার স্রষ্টা, ফলাফলের স্রষ্টার থেকে প্রদত্ত। তাই সমস্যার সমাধান তাঁর চেয়ে ভাল আর কে দেবে?
ইসলামবিদ্বেষী শক্তি সর্বদা ব্যস্ত ইসলামের খুত খুজতে। কিন্তু তা যে অসম্ভব, তা তাদের ধারণায় থাকে না। কারণ, এ বিধান ত্রুটিমুক্ত মহান রবের। তবে দুঃখজনক, খুত খুজতে যেয়ে তারা পেয়ে যায় পশ্চিমা ঐতিহাসিকদের কিছু প্রলাপ। ভাঙ্গা টেপ রেকর্ডারের মত বাজাতে থাকে গতবাধা কয়েকটি প্রশ্ন। 'ডাবল স্ট্যান্ডার্ড' হল সেই আপত্তিগুলোর ধারাবাহিক জবাব।
বইটিতে সবার জন্যে রয়েছে তাত্ত্বিক খোরাক। গল্পের আদলে জবাব দেওয়া হয়েছে ইসলামের উপর তাক করা ১১ টি প্রশ্নের।
আসুন দেখে নেওয়া যাক, প্রতিটি গল্প কি কি দৃশ্যপটে এগিয়ে গেছে।
১/না দেখে বিশ্বাস: মানবজন্মের সার্থকতা
নটরডেমের সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র আরবি নামধারী নাস্তিক নাদিমের সাথে চিকিৎসক ফারুক সাহেবের মধ্যকার যুক্তি-তর্কের মধ্য দিয়ে ফুটে উঠেছে এ গল্পটি। এখানে ফারুক সাহেব অত্যন্ত যুক্তিনির্ভর আলাপচারিতার মাধ্যমে তুলে ধরেছে পঞ্চইন্দ্রিয় দিয়ে মহান রবের সৃষ্টিকে জেনে ইন্দ্রিয়ের অতীত মহান রবকে চিনে নেওয়া যোগ্যতা রয়েছে মানুষজাতির মধ্যে । আর এরই মধ্যে রয়েছে সার্থকতা, যা অন্য প্রাণিগুলোর মধ্যে নেই।
২/দাসপ্রথা:ঐশী বিধানের সৌন্দর্য
শিক্ষানবিস মেডিকেল পড়ুয়া দু ছাত্র একটু এগনোস্টিক ফাহিম ও হুজুর প্রকৃতির সোহেলের মধ্যকার দাসপ্রথার আলাপচারিতা নিয়ে দ্বিতীয় গল্প। এ গল্পে পাঠক, সোহেলের উপস্থাপনার মাধ্যমে জানতে পারবেন যে, ইসলামে দাসপ্রথার বিধানটা কতটা সুন্দর, কার্যকর এবং কিভাবে ইসলাম তিলে তিলে দাসপ্রথাকে খতম করেছে। যা তুলে ধরতে লেখক ব্যবহার করেছেন অসংখ্য হাদীস ও ইতিহাসের রেফারেন্স।
৩/দক্ষিণ হস্ত মালিকানা : একটি নারীবাদী বিধান
পূর্ববর্তী গল্পের দু'টি চরিত্রে সাথে যুক্ত হয়ে এখানে একটি নাস্তিক চরিত্র শাহরিয়ার ভাই। শাহরিয়ার ভাইয়ের আপত্তি কুরআনে উল্লেখিত 'দক্ষিণ হস্ত মালিকানা'(যুদ্ধে প্রাপ্ত নারী)-য় থাকা নারীদের সাথে যৌন সম্ভোগের বিষয়টা। সোহেল তার জবাবে ফুটিয়ে তুলেছে এই বিধানের কার্যকারিতা, এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধা, নারীর মুক্তির সুযোগ তৈরি করা, সেই নারীর সাথে যৌন সম্ভোগের পূর্ববর্তী শর্তগুলো এবং তার সামাজিক নিরাপত্তার মত অসাধারণ বিষয়গুলো। এই গল্পটি পড়ে আমি নিজেও অনেক উপকৃত। কেননা, এখানে অনেক বিষয়ই আমার জানা ছিল না।
৪/শস্যক্ষেত্র : সম্পত্তি, না সম্পদ?
ঢাবি'র নৃতত্ত্বের সেকেন্ড ইয়ারের দুটো ছেলে ও দুটো মেয়ের সূরা বাকারার ২২৩ নম্বর আয়াত নিয়ে সমালোচনা ও খন্ডন নিয়ে এই চতুর্থ গল্পটি। 'তোমাদের স্ত্রীগণ তোমাদের শস্যক্ষেত। যেদিক দিয়ে ইচ্ছে শস্যক্ষেতে প্রবেশ করো। ' এই আয়াত দ্বারা নারীবাদীরা দাবি তোলে তাদের ছোট করা হয়েছে কুরআনে। কিন্তু গল্পের তানভীর এখানে ক্ষেতের সাথে চাষীর উপমা টেনে সুন্দররূপে বুঝিয়ে দিয়েছেন এখানে নারীকে ছোট নয়, বরং স্ত্রীর মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। আর শেষে রবী ঠাকুরের 'হৈমন্তী'-র বিখ্যাত উক্তি ' সে আমার সম্পত্তি নয়, সে আমার সম্পদ' দ্বারা বিষয়টিকে আরো প্রাণবন্ত করা হয়েছে।
৫/জিযিয়া : অমুসলিম নাগরিকের দায়মুক্তি
এই গল্পের অনেক চরিত্রের মধ্যে মূল দুটি চরিত্র দ্বিতীয় গল্পের সোহেল ও নতুন চরিত্র অমুসলিম ছেলে তন্ময়। তন্ময়ের জিযিয়া বিষয়ে অজ্ঞতার জন্য সোহেল তাকে এখানে স্পষ্ট করেছে জিযিয়াটা মূলত কি, কাদের উপরে বর্তাবে, এর পরিমাণ মাত্র কত টাকা বছরে, এটা সত্যিই ট্যাক্স কি না এবং এই জিযিয়া প্রদানের জন্য কতগুলো সুবিধা ভোগ করা যায়।
৬/শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজ : ওদের স্বপ্ন, আমাদের অর্জন
রাবি'র প্রাক্তন তিন ছাত্র নাহিদ,স্বপন আর রাশেদ এর দীর্ঘ আলাপচারিতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্টায় কমিউনিজম, পুজিবাদী, সমাজতন্ত্র ও সাম্রাজ্যবাদের অসারতা। আর সেখানে শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্টায় ইসলামের অবদান, দুঃস্থ মানুষের জন্য যাকাত, ফিতরা ও সাদকার খাত রাখা আর তার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি ও জান্নাতের সুসংবাদ।এছাড়াও ইসলামের সোনালী যুগে শ্রেণীবৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্টায় ইসলামের সফলতাও তুলে ধরা হয়েছে, যার নজির আর অন্য কোন তন্ত্র-মন্ত্রের মধ্যে খুজে পাওয়া অসম্ভব।
৭/আরব সংস্কৃতি মানবো কেন?
সদ্য ইন্টার্নীতে জয়েন করা সোহান ও অনারাবী মেডিকেল অফিসার ইসলাম আগ্রহী হিন্দু রাজিবদার ধর্মীয় আলাপ নিয়েই এই গল্পটি। তবে,রাজিবদার একটা ভূল ধারণা হল ইসলাম আসলে আরব জাতীয়তাবাদ। আর তার প্রশ্ন সব সংস্কৃতি স্রষ্টার তৈরি।তাহলে নিজ সংস্কৃতি রেখে আরব সংস্কৃতিতে যাওয়ার দরকার কি? সোহানের প্রদত্ত উত্তরটি নিয়ে মূল গল্প। সোহান তার জবাবে এটা প্রমান করে যে, ইসলাম আলাদা একটা সংস্কৃতি। যা আরব,মেসোপটেমিয়া, ইজিপশিয়ান সকল সংস্কৃতির সংস্কার করে আলাদা একটা সংস্কৃতি, আলাদা একটা জাতীয়তাবাদ । আর এটাও বাতলে দেওয়া হয়েছে যে দেশজ সংস্কৃতির সাথে ইসলামী সংস্কৃতির বিরোধ দেখা দিলে কোনটি গ্রহনযোগ্য হবে?
৮/সমাধান কি মানবধর্মেই?
এই গল্পটি বুয়েট ইলেক্ট্রিকাল ওস্তাদ ফেরদৌস ও তার শাগরেদ ইসলামী বিধান নিয়ে সংশয়বাদী রিহানকে নিয়ে। গল্পটিতে ফেরদৌস প্রমান করে মানবধর্মের অসারতা,ধর্মের নামে হওয়া বিভিন্ন অপকর্মের মূল কারণ, ইসলামের বিরুদ্ধে এত প্রোপাগান্ডার কারণ এবং ইসলামের মানবতাবোধ।
৯/বনু কুরাইযার মৃত্যুদন্ড ও বাংলাদেশ দণ্ডবিধি
ঢাবি'র আইন বিভাগের শেষ বর্ষের দু বন্ধু পুরোদস্তুর মোল্লা বনে যাওয়া নিয়াজ ও নাস্তিক রাসেল এর বনু কুরাইযার মৃত্যুদন্ড নিয়ে সমালোচনা ও খন্ডনের মধ্য দিয়ে এ গল্প। এ গল্পে নিয়াজ তুলে ধরেছে বনু কুরাইযার অবস্থান, তাদের প্রথম অন্যায়, পরবর্তীতে আবার রাষ্ট্রদ্রোহের মত হত্যাযোগ্য অপরাধ করা,ইহুদীদের পছন্দের বিচারক দ্বারা বিচার কার্য, শাস্তিপ্রাপ্তের সঠিক সংখ্যা এবং শেষে এই দন্ডবিধি যে বাংলাদেশ দন্ডবিধি মোতাবেক ও সমর্থনযোগ্য তাও প্রমাণ করা হয়েছে।
১০/পরিপূর্ণ দাড়ি : জঙ্গল নয়, ছায়াবীথি।
এই গল্পটি মুসলিম নামধারী এবং যারা দাড়ি রেখেও দাড়ির মাহাত্ব্য বুঝতে অক্ষম তাদের জন্য। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের দাড়ীওয়ালা শামীম ও তার মামার কথোপকথন। এই আলাপচারিতায় শামীম হাদীসের নস দ্বারা প্রমাণ করে দাড়ি রাখা ওয়াজিব এবং তা সকল নবীর সুন্নাত। এছাড়াও স্রেফ সুন্নাত ভেবে দাড়ি কাটার মত মহা অন্যায়ের অপনোদন করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাড়ি রাখার গুরুত্ব ও বাদ পড়ে নি গল্পটা থেকে।
১১/বিজ্ঞানকল্পকাহিনী : 'শাশ্বত একত্ব' (Eternal Oneness)
ছোট বেলা থেকেই অন্য বন্ধুদের সাথে আমার যেখানে অমিল ছিল তা হল সায়েন্স ফিকশন পড়া নিয়ে। তেমন আগ্রহ তো পাইতামই না বরং যেতো সব মাথার উপর দিয়ে। আর বইয়ের এই অংশটিতেও তার ব্যতিক্রম করে নাই। ফিকশন টাইপের হওয়ার সব গিয়েছে মাথার ওপর দিয়ে। তাই পুরো বইয়ের মাত্র এই অংশটি রাখলাম যারা বইটি পড়বে তাদের জন্য।
[বি.দ্র: সব বলে দিলে তো মজাটায় হারিয়ে যাবে,তাই নয় কি? ]
ভালো দিক:
বইটির কভারটা ছিল দৃষ্টিনন্দনীয়। এত স্বল্প মূল্যের মধ্যে বইটির বাইন্ডিং ও পৃষ্টার মান ছিল ভাবিয়ে তোলবার মত। ভাষাশৈলী ও সাহিত্যশৈলী ছিল নজর কাড়বার মত। লেখকের লেখা প্রথম বই হিসাবে লেখার মান ছিল অসাধারণ।
ত্রুটি-বিচ্যুতি:
১/ সবচে' বড় ত্রুটি বলব বইয়ের কভারে বইটার নাম ছিল" ডাব্ ল্ স্ট্যান্ডার্ড"। তবে বইটির পরতে পরতে ব্যবহৃত হয়েছে "ডাবল স্ট্যান্ডার্ড " শব্দটি। কোনটি ভুল আর কোনটি সঠিক তা প্রকাশনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব রইল।
২/ বইটিতে প্রচুর পরিমাণে বানান ভুল ও প্রিন্টিং মিসটেক লক্ষনীয়। যার মোটামুটি একটা লিস্ট হয়েছে আমার কাছে। যেমন বে-ড হবে ব্লেড, কেননে হবে কেননা, দোসড় হবে দোস্ত ইত্যাদি।
৩/অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দুটি শব্দের মাঝে ফাকা না রেখে একত্রে যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। যা দৃষ্টিকটু লাগছে। যেমন নাতাকে হবে না তাকে, ভাবতেপারব হবে ভাবতে পারব, চায়না হবে চায় না, চোখআমাদেরকে হবে চোখ আমাদেরকে ইত্যাদি।
৪/ প্রতিটি গল্পের শেষে দেওয়া হয়েছে রেফারেন্স। যা আমার নিকট একটু অসুবিধার কারণ বলে আমি মনে করি। কেননা, অনেক সময়ই হয়েছে গল্পটি পড়তে পড়তে গল্পে প্রদত্ত রেফারেন্স খুজতে পৃষ্টা উল্টাতে হয়েছে। যা আগ্রহের একটু কমতি ঘটিয়েছে বলে আমি মনে করি। তাই, প্রতিটি পৃষ্টার রেফারেন্স পৃষ্টার নিচে প্রদান করলেই উত্তম হত বলে মনে করি।
৫/অল্প কিছু জায়গায় দেখা গেছে, গল্পে উপস্থাপিত বিষয়ে উপর আরো জটিল প্রশ্ন করা যেত। কেননা, যুক্তি-তর্কের আসল স্বাদটায় নির্ভর করে প্রশ্নের উপর। তবে, সেসব প্রশ্নকে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আমি বলব,হয়ত, লেখক সেসব প্রশ্নের কথা ভাবেনই নাই। আর এটায় স্বাভাবিক।কেননা, সবসময় মানুষের মাথায় সব প্রশ্ন আসে না।
সবশেষে বলব, প্রথম তিনটা ত্রুটিই ছিল প্রকাশনা কর্তৃপক্ষের। যা তাদের দেখা উচিত ছিল। হয়ত,দ্রুত বইটি প্রকাশের সুবাদে এগুলো তাদের দৃষ্টিগোচর হয় নাই। আশা রাখি, পরবর্তী সংস্করণে তারা এটা সংশোধন করে নিবে।
আরো শেষে ছোট মুখে এত বড় ত্রুটি ধরার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
মন্তব্য:
নাস্তিক ও ইসলামবিদ্বেষী শক্তির প্রোপাগান্ডা থেকে ও তাদের বিষাক্ত ছোবল থেকে নিরাপদ থাকতে এই ধরনের বই প্রত্যেকেরই পড়া উচিত বলে আমি মনে করি। আসলে বইটা আস্তিক-নাস্তিক-মুসলিম-অমুসলিম-প্রাকটিজিং-নন -প্রাকটিজিং-আলিম-জেনারেল শিক্ষিত সবার জন্যেই। বইটিতে সবার জন্যে রয়েছে তাত্ত্বিক খোরাক। বিশেষ করে, যারা ইসলামের সৌন্দর্য উপলব্ধিতে ব্যর্থ এবং যারা সংশয়বাদী রোগে ভুগছেন তাদের জন্য বলব, বইটি এক কার্যকরী ঔষধ বটে। তাই নিজে পড়ুন এবং হাদিয়া দিন। আর শেষে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখক ডা.শামসুল আরেফীন সাহেবকে এত চমৎকার একটি বই বাংলা ভাষাভাষীদের মাঝে উপহার দেওয়ার জন্য।
ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বইটি কিনতে এখানে ক্লিক করুন
বইটির পিডিএফ লিংক
একটি ড্রাইভ লিংক আরেকটি ফাঁকা
0 Comments