বইয়ের নামঃ আফগানিস্তানে আমি আল্লাহকে দেখেছি।
লেখকঃ মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী
বই সম্পর্কেঃ-
বইটা সম্পর্কে বলার পূর্বে বইয়ের নাম করন নিয়ে কিছু কথা বলে রাখা ভালো।বইটির নাম করন করা হয়েছে একজন ফরাসী সাংবাদিকদের ঐতিহাসিক উক্তি অবলম্বনে, আফগান এবং রাশিয়ার মধ্যে যে চৌদ্দ বছরের যুদ্ধ সংগঠিত হয় সেখানে পেশাগত দ্বায়িত্ব পালন শেষে একজন খ্রিষ্টান সাংবাদিক যুদ্ধের সময়ে তার স্বচক্ষে দেখা আফগান মুজাহিদের উপরে খোদায়ী মদদের বর্ণনা দিতে গিয়ে এ বিখ্যাত এ উক্তিটি করেন এবং তিনি মুসলমান হয়ে যান। আলহামদুলিল্লাহ।
... বইটা প্রথম প্রকাশিত হয় "কিতাব কেন্দ্র থেকে ১৯৮৮ সালে" এবং ৭ম মূদ্রণ হয়েছিলো আগস্ট ২০০০সালে।আমার জানামতে এটাই শেষ মূদ্রণ।
.
তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়ার সাথে আফগানিস্তানের ইসলামপ্রিয় জনতার দীর্ঘ চৌদ্দ বছরের যে অসম লড়াই সংগঠিত হয়েছিল তারই প্রেক্ষাপট নিয়ে বইটি রচিত।
বইয়ের শুরুতে লেখক আলোকপাত করেছেন।আফগানে মাটি ও মানুষ সম্পর্কে। তাদের সহজ সরল জীবন কেমন ছিলো।শান্তি প্রিয় সরলমনা, খোদাভীরু মানুষদের মাঝে রাশিয়া তথা সোভিয়েত ইউনিয়ন কিভাবে কমিউনিজমের বীজ বপন করে শান্ত একটা রাষ্ট্রকে অশান্ত করে তোলে।
রাষ্ট্র প্রধানকে কমিউনিজমের মাকালফলের সৌন্দর্যে প্রভাবিত করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে।
অতরপ আলোচনা করা হয়েছে, ১৯৫৯ সালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়েরশরীয়ত অনুষদের অধ্যাপক গোলাম মোহাম্মদ নিয়াজী সহ কতিপয় ব্যক্তিত্ব কমিউনিস্ট শক্তির মোকাবিলায় ইসলামি আন্দোলনের সূচনা করেন। তারা প্রতিষ্ঠা করেন "জাওয়ানানে- মুসলমান তা নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম দেওয়া হয় 'জমিয়তে ইসলামি। অতপর সময়ের দাবিঅনুযায়ী গঠিত হয় " আল- হিযবুল ইসলামী"…...
এ সংগঠনের সাথে সাধারণ জনগকে কিভাবে সম্পৃক্ত করা হয়,এবং এক সময়ে তা আন্তর্জাতিক মহল পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়া হয় তারো আলোচনা উঠে এসেছে।
এর পরে আলোচনা করা হয়েছে,রাশিয়ার সাথে মুসলমান মুজাহিদগন সমর যুদ্ধে কিভাবে বীরদর্পে যুদ্ধ করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলো, যুদ্ধে মুজাহিদগনের ত্যাগ,কুরবানীর মাধ্যমে আল্লাহর অশেষ কৃপার সাহায্য কিভাবে লাভ করে।
.
বাংলাদেশ থেকে প্রায় ৩০০০(তিন হাজার) মুজাহিদ এ জিহাদে অংশ নেন।এবং ২৪জন মুজাহিদ শহীদি হন।
বইয়ের সবশেষে লেখক তুলে ধরেছেন, ১৪বছর যুদ্ধ শেষে পৃথিবীর সেরা সৈন্যবাহিনী অত্যাধনিক মরনাস্ত্র থাকা সত্বেও রাশিয়া পরাজয় স্বীকার করে কিভাবে লেজ গুটিয়ে পালিয়েছিলে।সোভিয়েত ইউনিয়ন কিভাবে ভেঙ্গে গিয়েছিল।
বিঃ দ্রঃ ইদানীং লক্ষ্য করছি এ বইটা নিয়ে পাঠক মহলে নতুন সাড়া পড়েছে, অনেকেই "তালিবান' সম্পর্কে জানার আগ্রহ থেকে বইটি ক্রয়ের ইচ্ছা পোষণ করছেন, তাদের উদ্দেশ্যঃ আমরা জানি মোল্লা ওমর কান্দাহার প্রদেশে তালেবান প্রতিষ্ঠিা করেন সেপ্টম্বর ১৯৯৪ সালে আর এ বইটা রচিত হয়েছে ১৯৮৮তে.. সুতরাং!
তবে হ্যা,, যদি আপনি আফগান - রাশিয়ার যুদ্ধ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হন তাহলে অবশ্যই পড়বেন।
ধন্যবাদ।
পিডিএফ ডাউনলোড করতে
একটি ড্রাইভ লিংক আরেকটি ফাঁকা
0 Comments