কালেমা শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযীলত | kalima sahadat bangla uccharon ortho o fojilot

কালেমা শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফযীলত | kalima sahadat bangla uccharon ortho o fojilot

 



কালেমা শাহাদাত একজন মুসলিমের জন্য অবশ্য জানা থাকা প্রয়োজন জ্ঞানের একটি। কালেমা শাহাদাতের মাঝেই ইসলামের প্রকৃত বার্তা নিহিত রয়েছে। ছোট বেলায় আমাদের বেশ যত্ন করে এই কালেমা শিখানো হয়েছিলো। 

কালেমা শাহাদাত আরবীতে : 

اشْهَدُ انْ لّآ اِلهَ اِلَّا اللّهُ وَحْدَه لَا شَرِيْكَ لَه، وَ اَشْهَدُ اَنَّ مُحَمَّدً اعَبْدُهوَرَسُولُه


কালেমা শাহাদাত বাংলা উচ্চারণ : 

আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু  ওয়া আশহাদু আন্না  মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলূহু


কালেমা শাহাদাত অর্থ : 

আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া কোন উপায় এবং তাঁর কোন শরীক নাই আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল। 


কালেমা শাহাদাতের ফযীলত: 

  • হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, 

"কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের এক ব্যক্তিকে সবার সামনে নাজাত দিবেন, তার সামনে নিরানব্বইটি দফতর খোলা হবে, প্রত্যেক দফতর চোখের দৃষ্টি পরিমাণ লম্বা।

অতঃপর তিনি বলবেন, তুমি এর কিছু অস্বীকার করো? আমার সংরক্ষণকারী লেখকরা তোমার ওপর জুলুম করেছে? সে বলবে, না, হে আমার রব! তিনি বলবেন, তোমার কোনো অজুহাত আছে? সে বলবে, না, হে আমার রব! তিনি বলবেন, নিশ্চয় আমার নিকট তোমার একটি নেকি রয়েছে, আজ তোমার ওপর কোনো জুলুম নেই।

অতঃপর একটি বেতাকা/কার্ড বের হবে, যাতে রয়েছে- أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.

উচ্চারণ : আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহু।

তিনি বলবেন, তোমার (কাজের /আমলের) ওজন প্রত্যক্ষ করো। সে বলবে, হে আমার রব! এতোগুলো দফতরের সঙ্গে মাত্র একটি কার্ড কি (কাজে আসবে)? তিনি বলবেন, নিশ্চয় তোমার ওপর জুলুম করা হবে না। তিনি বলেন, অতঃপর সবগুলো দফতর এক পাল্লায় ও কার্ডটি অপর পাল্লায় রাখা হবে, ফলে সব দফতর ওপরে উঠে যাবে ও কার্ডটির পাল্লা ভারী হবে। আল্লাহর নামের বিপরীতে কোনো জিনিস ভারী হবে না। (মুসনাদে আহমাদ, তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)


  • হজরত উকবাহ ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, আমার ওপর উট চড়ানোর দায়িত্ব ছিল। আমার পালা এলে আমি উট চরিয়ে বিকেলে ফিরিয়ে নিয়ে এলাম। এরপর (ফিরে এসে) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পেলাম, তিনি দাঁড়িয়ে লোকেদের সঙ্গে কথা বলছেন। তখন আমি তার এ কথা শুনতে পেলাম, ‘যে মুসলিম সুন্দরভাবে অজু করে তারপর দাঁড়িয়ে দেহ ও মনকে পুরোপুরি আল্লাহর প্রতি নিবদ্ধ রেখে দু’ রাকাত নামাজ আদায় করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে।

হজরত উকবাহ বলেন, কথাটি শুনে আমি বলে উঠলাম, বাহ! হাদিসটি কত চমৎকার! তখন আমার সামনের একজন বলতে লাগলেন, আগের কথাটি আরও উত্তম। আমি সে দিকে তাকিয়ে দেখলাম তিনি ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু। তিনি আমাকে বললেন, তোমাকে দেখেছি, এ মাত্র এসেছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আগে বলেছেন-

مَا مِنْكُمْ مِنْ أَحَدٍ يَتَوَضَّأُ فَيُبْلِغُ – أَوْ فَيُسْبِغُ – الْوَضُوءَ ثُمَّ يَقُولُ:


‘তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি উত্তম ও পূর্ণাঙ্গ রূপে অজু করার পর বলে-

أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ


‘আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া প্রকৃত কোনো ইলাহ (উপাস্য) নেই , তিনি এক, তাঁর কোনো শরিক নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর বান্দাহ ও রাসুল।’

إِلَّا فُتِحَتْ لَهُ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ الثَّمَانِيَةُ يَدْخُلُ مِنْ أَيِّهَا شَاءَ

তাহলে তার জন্যে জান্নাতের আটটি দরজা খুলে দেওয়া হয়। সে ইচ্ছা করলে এর যে কোনো দরজা দিয়ে (জান্নাতে) প্রবেশ করতে পারবে।’ (মুসলিম ২৩৪)


অতএব, আমরা বেশি বেশি করে কালেমা শাহাদাতের আমল করবো ও নিজেদের জীবন এর উপর ভিত্তি করে গঠিত ও পরিচালিত করবো। 







Post a Comment

0 Comments