ঈমান সবার আগে - মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক

ঈমান সবার আগে - মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক

 


বইঃ ঈমান সবার আগে
লেখকঃ মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল মালেক


মাওলানা আবদুল মালেক পরিচিত :

মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মালেক (জন্মঃ ১৯৬৯) একজন বাংলাদেশি ইসলামি স্কলার, হানাফি সুন্নিআলেম, মুুফতি, লেখক, গবেষক ও ধর্মীয় আলোচক। তিনি মারকাযুদ দাওয়াহ আল ইসলামিয়া ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, হাদীস অনুষদ এবং রচনা ও গবেষণা বিভাগের প্রধান এবং মাসিক আলকাউসারের তত্ত্বাবধায়ক। এছাড়াও তিনি ২০১২ সালে সরকারের গঠিত বাংলাদেশ কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা কমিশন ও ইসলামি ফিকহ একাডেমি, ভারতের সদস্য। 

ইমান সবার আগে বই সম্পর্কে :



সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হল ঈমান। ঈমানের বিপরীত কুফর। ঈমান সত্য, কুফর মিথ্যা। ঈমানের অবর্তমানে কোন আমল আল্লাহর পাকের দরবারে কবুল হয় না। ঈমান আকিদার বিষয় সমূহ যথাযথভাবে জেনে আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করা মুখে স্বীকার করা এবং তা বাস্তবায়ন করার নামই হলো ঈমান। ঈমান অতি নাজুক আর ঠুনকো। ইসলামের অনেকগুলো বিষয় ধারণ করার মাধ্যমে ঈমান পরিপূর্ণতা লাভ করে কিন্তু কোন একটির অংশবিশেষের প্রতি সংশয় বা অস্বীকার করার ফলে ঈমান হুমকির মুখে পড়ে যেতে পারে।

সহিহ হাদিসে এসেছে, যে কোনো বান্দা ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলে (অর্থাৎ তাওহীদকে দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে এবং এর উপর অটল থাকে) আর এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয় সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে।

.

সাতটি মৌলিক বিষয় যথাযথভাবে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয় এগুলোর যেকোনো একটি অংশবিশেষ অবিশ্বাস বা অস্বীকার করলে তাকে ঈমানদার বলা হবে না। এই ঈমান ও আকিদা সহিহ করা ব্যতীত কোন মানুষই মুসলমান হতে পারবে না। এজন্য ঈমান ও আকিদার ব্যাপারে কোনো প্রকার শিথিলতা, অজ্ঞতা, অস্পষ্টতা, অস্বচ্ছতা কোন ধরনের অবকাশ ইসলামে নেই।

.

ইসলাম, ইসলামের নবী কিংবা ইসলামের কোন নিদর্শন সম্পর্কে কটূক্তিকারী, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কিংবা তার বিধান অবজ্ঞাকারী যদি মুসলিম পরিবারের সন্তান হয় মুখে কালিমা পাঠ কারিও হয় তবুও সে কাফির ও মুসলমানের দুশমন শরীয়তের পরিভাষায় এর নাম মুনাফিক,মুলহিদ ও যিনদীক।

.

যারা ঈমানের নেয়ামত ইসলামের আলো থেকে বঞ্চিত তাদের কাছে বর্ণ, বংশ, ভাষা, ভূখণ্ড, সংস্কৃতি, মতবাদ ( ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, সাম্যবাদ, জাতীয়তাবাদ, নারীবাদ, সমাজতন্ত্রবাদ অর্থাৎসকল বাদ বা ইজম( সেকুলারিজম, ন্যাশনালিজম ইত্যাদি) রাজনৈতিক দর্শন ইত্যাদি বিভিন্ন মানদন্ডের ভিত্তিতে জাতীয়তা নির্ধারিত হয় আর এই জাতীয়তাবাদ ও তাদের কাছে মুয়ালাত ও বারায়াত( বন্ধুত্ব ও সম্পর্কচ্ছেদ) এবং পরস্পর সাহায্য ও সহযোগিতার মানদন্ড হয়ে থাকে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা সরাসরি জাহেলিয়াত। মুয়ালাত ও বারায়াত হবে ইমানের ভিত্তিতে। সকল ইমানদারগণ আমার ভাই। পুরো মুসলিম উম্মাহ এক দেহের ন্যায়।

.

ঈমানের বিষয়টি অতি নাজুক ও সংবেদনশীল। ইসলাম এটা বরদাস্ত করে না যে মুসলিম উম্মাহ অন্য কোন জাতির মাঝে বিলীন হয়ে যাবে বা মিলেমিশে একাকার হয়ে যাবে। অমুসলিমদের ধর্মীয় নিদর্শন এর প্রতি কোন ধরনের সম্মান প্রদর্শন থেকে পরিপূর্ণ বেঁচে থাকা অর্থাৎ ধর্ম যার যার উৎসব সবার বা ধর্ম যার যার উৎসব যার ইচ্ছা তার বলা যাবে না। ইমানের আলোয় আলোকিত অন্তর এই দাবী করতে পারে না৷

.

ঈমান শুধু সত্যকে গ্রহন নয়, বাতিলকে বর্জনও বটে।ঈমানের বিপরীত সকল বিষয়কে বর্জন করতে হবে৷ মিল্লাতে ইব্রাহীমের অনুসারীদের জন্য(অর্থাৎ সকল মুসলিমদের জন্য) কাফির মুশরিক ও মুনাফিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা হারাম। অথচ আমাদের অনেক মুসলিম ভাই বোনদের কে দেখা যায় অমুসলিমদের মৃত্যুতে তাদের জন্য মাগফিরাত কামনা করে এবং অন্যকেও দোয়া করতে উৎসাহিত করে, যা স্পষ্ট ইমানের দাবীর বিপরীত ও হারাম।

.

শাআইরে ইসলামের বিষয়ে আমার অবস্থান বলে দিবে আমার ইমানের অবস্থা কি! শাআইর বা ইসলামের চিহ্নের প্রতি আমার ভালোবাসা কতটুকু। আল্লাহর ঘর কা'বা, অন্যান্য মসজিদ ও ইসলামের অন্যান্য পবিত্র স্থান বিশেষত মসজিদে হারাম, মিনা, আরাফা, মুযদালিফা, মসজিদে আকসা, মসজিদে নববীর প্রতি কতটুকুন ভালোবাসা আমার। ইয়াহুদীরা জেরুজালেমে অবস্থিত মসজিদে আকসা দখল করে নিয়েছে। এটা জেনে বা ভেবে আমার অন্তরে রক্তক্ষরণ হয় কিনা বা আবার পুনরুদ্ধার হোক এমনটা আশা হয় কিনা, সেটাও ইমানের অবস্থা বলবে।

.

আমাদের সমাজে যারা রাজনীতিবিদ বা নেতা নেত্রী হিসেবে পরিচিত তারা বিভিন্ন পূজা বা অমুসলিমদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান করে তাদের ধর্মের প্রশংসা করে এবং কেবলমাত্র তাদের ধর্মানুসরণেই শান্তি লাভ হবে বলে বক্তব্য দেয়। আমাদের সমাজে আকিদা সম্পর্কে অজ্ঞ এমন লোক আছে যারা খোদার আসনে পীরকে বসিয়ে পীর পূজা, মাজার পুজা এবং কবর পূজায় লিপ্ত । অথচ এ ধরনের চিন্তা চেতনা ও মন মানসিকতা একজন মানুষকে ঈমানহারা করার জন্য যথেষ্ট। ঈমান ও আকিদার এধরনের অবস্থা যদি নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিবর্গের হয়ে থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের মারাত্মক করুণ অবস্থা সহজে অনুমেয়।

অন্যান্য কওমের রব, ইলাহ ও শাআইরের উপাহাসও কটুক্তি থেকে বিরত থাকা ইসলামের শিক্ষা। যা স্বস্থানে ইসলামী আদর্শের এক উল্লেখযোগ্য সৌন্দর্যের দিক। ভালোভাবে বুঝা উচিত কোন কিছুর কটুক্তি অবজ্ঞা থেকে বিরত থাকার অর্থ এই নয় যে ওই বিষয়কে সম্মান করতে হবে, সত্য মনে করতে হবে। কুফরের শাআইরের সম্মান বা ভালোবাসা হচ্ছে পরিষ্কার কুফর।

.

আমরা কত বিষয়ে কত বই পড়ি। একেবারেই মৌলিক এ বিষয় নিয়ে জেনে ইমানকে লালন, বর্ধন, পুষ্টিসাধন বা নারিশ করা কতইনা দরকার!বই পড়ুয়া ভাই বলতেছে,এই বইটি মিনিমাম পাঁচ বার পড়া দরকার। কিনে কিনে কাছের মানুষদের হাদিয়া দিবে, যাদেরকে জান্নাতে দেখতে চায়। অতি উত্তম ভাবনা; আমার এইটুকুনের জন্য যদি কারোর ইমান হেফাজত হয় ও সে জান্নাতে চলে যায়, তাহলে কতইনা কামিয়াব ও উত্


বইটি ডাউনলোড করতে 



Post a Comment

0 Comments