আবু বকর সিদ্দিক রা. pdf download | ড. আলি মুহাম্মাদ সাল্লাবি | আবু বকর সিদ্দিক রাঃ এর জীবনী pdf download

 



একজন সফল মানুষের সামান্য কিছু সময় পেতে,তাঁর সফলতার কারণ জানতে আমাদের কতই না কাঠখড় পোড়াতে হয়! এপোয়েন্টমেন্ট থেকে শুরু করে কত কি!কিন্তু মুসলিম জাহানের এক আশারা মুবাশ্শরা, সাহাবীদের নেতা সম্পর্কে আমাদের জানার পথকে সহজ ও সাবলীল করতেই ড. আলি মুহাম্মদ সাল্লাবি রচিত বক্ষ্যমাণ বইটির অনুবাদ করেছে- কালান্তর প্রকাশনী।

হযরত আবু বকর (রা.)

আব্দুল্লাহ বিন আবু কুহাফা,প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী পুরুষ,যিনি হযরত আবু বকর (রা.) নামে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। ছোটবেলায় বকরির বাচ্চার প্রতি অত্যধিক ভালোবাসার জন্য,তাঁর নাম দেওয়া হয় আবু বকর। তাঁর সিরাত সম্পর্কে জ্ঞানলাভ বরাবরই মুসলিমদের জন্য আবশ্যক, কারণ রাসূলুল্লাহ(সা.) যে প্রজন্মকে শ্রেষ্ঠ প্রজন্ম বলে আখ্যায়িত করেছে তিঁনি সেই প্রজন্মের সর্দার।


বইটি কেন পড়ব : 


পবিত্র কুরআনে সরাসরি সাহাবীনামে উল্লেখিত একমাত্র সাহাবী। হিজরতের সময় গুহায় আশ্রয়কালে যাকে উদ্দেশ্য করে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘হে আবু বকর(রা.) এরূপদুজন সম্পর্কে তোমার কী ধারণা যাদের তৃতীয়জন হলেন আল্লাহ।’ তাঁর সম্পর্কে জানার জন্য বইটি অতুলনীয়।

হযরত আবু বকর (রা.) ছিলেন স্থিরবুদ্ধি ও অসাধারণ জ্ঞানী। ইসলামের মৌলিক বিষয়সমূহ থেকে শুরু করে পবিত্র কুরআনের তাফসির পর্যন্ত সকল বিষয়ে তাঁর জ্ঞান ছিল অন্যদের চেয়ে অনেক এগিয়ে। সকল ভালো কাজে তিঁনি ছিলেন ভালোদের অগ্রণী। তাই তাঁর জীবনী সম্পর্কে জানা এবং অনুসরণের জন্য বইটি অসাধারণ।

তিঁনি ছিলেন রাসূলুল্লাহ (সা.) এর সার্বক্ষণিক সঙ্গী,সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু।হিযরতের চরম বিপদের সময়ও তিনি রাসূলুল্লাহ (সা.)এর সাথেই সর্বদা ছিলেন।রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ঘুম ভেঙে যাবে এই আশংকায় তিঁনি গুহায় সাপের কামড় খেয়েও নিশ্চুপ থেকে ছিলেন। হিযরতের সময় তিঁনি ছিলেন রাসূলের ‘রাদিফ’।রাসূলের প্রতি তাঁর ভালোবাসা জানার জন্য তাঁর সিরাত পাঠ আবশ্যক।

রাসূলুল্লাহ (সা.) এর কাছ থেকে মিরাজের ঘটনা শুনার পর বিনাদ্বিধায় তা বিশ্বাস করে নেওয়ায় তাঁর উপাধি দেওয়া হয় আস-সিদ্দিক।ঈমানের প্রগাঢ়তা কত বেশি হলে কেউ এরকম হতে পারে,তা উপলব্ধি করার জন্য এবং শিক্ষালাভের জন্য তাঁর জীবনি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা জরুরী।

রাসূলুল্লাহ (সা.) অসুস্থতাবস্থায় নামাজের ইমামতির জন্য তাঁকেই নির্বাচন করা হয়।এমনকি রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ওফাতের পর যখন বড় বড় সাহাবীরাও সাময়িক সময়ের জন্য অপ্রকৃতস্থ হয়ে পড়েছিলেন,তিঁনিই তখন মুসলিমদেরকে নাসীহাহ্ দিয়ে সেই পরিস্থিতিতে নিজেদের সামলাতে সাহায্য করেছিলেন।

শুধুমাত্র সাহাবি বা সঙ্গীই নয়, একাধারে তিঁনি ছিলেন মুসলিম বিশ্বের খলিফা তথা রাষ্ট্রনায়ক। রাসূলুল্লাহ (সা.) এর ওফাতের পর যে মুরতাদ ও ভন্ড নবীর উদ্ভব ঘটেছিল,সেই বিশৃঙখলা দমন করে তিঁনি মুসলিম বিশ্বকে যেভাবে একই খলিফার অধীনে সংঘবদ্ধ করেন তার দ্বিতীয় কোনো নজির ইতিহাসে নেই।এই মহান রাষ্ট্রনায়ককে অনুসরণ বর্তমানে খুবই জরুরি আর যার জন্য তাঁর সিরাত পাঠ আবশ্যক।

মুরতাদদের দমনের মাধ্যমে তিঁনি মুসলিমদের এমনভাবে একতাবদ্ধ করেছিলেন, যার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে মুসলিমরা রোম ও পারস্যের মত পরাশক্তির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয় এবং যা মুসলিম সাম্রাজ্য বিস্তারের সূচনালগ্নে পরিণত হয়।

মুসলিম সাম্রাজ্যের প্রসারের সাথে সাথে তিঁনি পবিত্র কুরআনের মাসহাফ তৈরিরও উদ্যোগ নেন।এক কথায় তাঁর পুরো জীবনই আমাদের অনুসরণীয়।


বইটি ডাউনলোড করতে

এখানে ক্লিক করুন ]

Post a Comment

0 Comments