ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল pdf download | সাওযান বিনতে মুস্তফা বুখাইত

 



কিভাবে শিশু প্রতিপালন করতে হয় – এমন চিন্তায় হাবুডুব খায়না এমন অভিভাবকের সংখ্যা খুবই কম। সন্তান জন্ম গ্রহণের পর সকলেরই চিন্তায় আসে, কিভাবে সন্তানকে প্রতিপালন করবে। কথা হচ্ছে, সন্তান কি শুধু প্রতিপালন করলেই হবে? 

আদর্শ সন্তান গড়ে তুলতে হলে পিতামাতার ভূমিকা কেমন হবে? ইসলামি পরিবেশের মধ্য দিয়ে কিভাবে আপনার সন্তানকে পরিচর্চা করবেন? এই বইয়ের মধ্যে এসকল বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। 

প্রত্যেক মা- বাবাই চায় তাদের সন্তান যেনো একজন আদর্শবান মানুষ হয়ে বেড়ে উঠে। তারা চান তাদের সন্তান যেনো জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করেন এবং তাদের পাশে থাকেন।

মুসলিম প্যারেন্টিং pdf download

তাদের এই চাওয়াগুলো ভুল কিছু নয় তবে ভুল হলো তাদের সন্তান গড়ে তুলার কৌশল। কেননা…আজকাল প্রায় প্রতিটা পরিবারেই দেখা যায় পিতা মাতা তাদের সন্তানকে কিভাবে গড়ে তুলবেন, কোন আদর্শে গড়ে তুলবেন সেই বিষয়ে খুবই উদাসীন।

ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খেলা করা, তাদের সাথে গল্প করা সুন্নাত । কিন্তু বর্তমানের মা – বাবারা তাদের সন্তানদের সাথে সময় কাটানোর পরিবর্তে তাদের হাতে স্মার্টফোন/ টিভি তে কার্টুন দেখতে বসিয়ে দেন ।এছাড়াও অনেক সন্তান বাড়ির কাজের লোকের কাছে লালিত – পালিত হয় । ফলে সন্তান সেই আদর্শেই বড় হতে থাকেন । যার ফলে দেখা যায় বড় হয়ে সন্তান অবাধ্য হয়ে যায় এবং পিতা – মাতাকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সন্তান ও মা – বাবার এমন খামখেয়ালিপনার প্রতি লক্ষ রেখে , প্রতিটা সন্তান যেন সুবাসিত ফুল হয়ে বেড়ে উঠতে পারে সেই দিকটি লক্ষ রেখে লেখক “সাওযান বিনতে মোস্তফা বুখাইত” “আয়ান প্রকাশনী”র মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন "ফুটিয়ে তুলুন সুবাসিত ফুল” বইটি। বইটি মূলত পাঁচটি পরিচ্ছেদ এবং শেষে একটি পরিশিষ্ট নিয়ে গঠিত।


1️⃣ প্রথম পরিচ্ছেদ :

এখানে গর্ভধারণ ও জন্মগ্রহণের প্রাথমিক স্তর হিসেবে মা বাবার আচরণ,নেককার জীবনসঙ্গী নির্বাচন, নেক সন্তানের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা এবং ভূমিষ্ট সন্তানের জন্য শয়তান থাকে আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


2️⃣ দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ :

প্রথম দুই বছরে সন্তানের জন্য মা বাবার করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


3️⃣ তৃতীয় পরিচ্ছেদ:

শৈশবকাল: দুই বছর থেকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত সন্তানকে তাওহীদের শিক্ষা, ইবাদতের প্রতি মনোযোগী করাসহ আরো কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


4️⃣ চতুর্থ পরিচ্ছেদ :

বিদ্যালয়ে যাওয়ার স্তর ( ছয় থেকে তদূর্ধ্ব ) : এই স্তরে সন্তানকে ইলমী জ্ঞান দেওয়া, মাসনূন দুআ শেখানো, সৎ লোকের সাহচর্য এবং অসৎ লোক থেকে বিরত থাকার বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।


5️⃣পঞ্চম পরিচ্ছেদ :

শিশুমনে ঈমানের বীজ বপনকারি কিছু বই সম্পর্কে এই পরিচ্ছেদ আলোচিত হয়েছে।


6️⃣পরিশিষ্ট :

এখানে সন্তান গড়ার ক্ষেত্রে মা – বাবার কি কি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে, সন্তানকে কোন আদর্শে বড় করবেন , কি কি শিক্ষা দিবেন এসব বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।


সন্তানকে নিয়ে মা বাবার আশা আকাঙ্খার শেষ নেই। তাই সন্তানকে আদর্শবান মানুষ করে গড়ে তুলতে চাইলে গর্ভকালীন সময় থেকেই মা বাবাকে সচেতন হতে হবে। পিতা মাতা হচ্ছে সন্তানের প্রথম শিক্ষক। পিতা মাতাকে দেখেই সন্তান শিখবে। তাই সবার আগে পিতা মাতাকে এই বিষয়ে সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে এই বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। সন্তানকে আদর্শবান করে গড়ে তুলতে এই বইটির কোনো জুড়ি নেই। প্রায় প্রতিটা মা – বাবার উচিত এই বইটি অধ্যয়ন করা এবং নিজের সন্তানকে সেই অনুযায়ী গড়ে তুলা। যাতে তাদের আগামী এই সুবাসিত ফুল হয়েই বেড়ে উঠতে পারে এবং সেই সুবাস দিয়ে চারপাশ সুবাসিত হতে পারে।


বইটির পিডিএফ লিংক

লিংক ১ | লিংক ২ ]

Post a Comment

0 Comments